২২ নভেম্বর ২০২৫, ০১:০৮ অপরাহ্ন, ৩০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭ হিজরি, শনিবার, ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নোটিশ
জরুরী ভিত্তিতে কিছুসংখ্যক জেলা-উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে যোগাযোগ- ০১৭১২৫৭৩৯৭৮
সর্বশেষ সংবাদ :
বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসনে বিএনপির মনোনয়নকে ঘিরে সুবাতাস বানারীপাড়ায় ভূমিকম্পে মুহুর্তে বসতবাড়ি সন্ধ্যা নদী গর্ভে বিলীণ ছারছীনার পীর সাহেব হুজুরের বরিশাল আগমন উপলক্ষে আগামীকাল শনিবার ঈছালে ছওয়াব ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় উদ্ধার হওয়া তিনটি তক্ষক বনায়ন ও নার্সারি এবং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের বাগানে অবমুক্ত ফাতেমা জোহরা আদিবার আন্তর্জাতিক সাফল্য; অস্ট্রেলিয়ার নিবন্ধিত আর্কিটেক্ট স্ত্রীকে নির্যাতনের মামলায় বরগুনার শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রবিউল হত্যা মামলায় নিরপরাধদের জড়ানোর অভিযোগে বাবুগঞ্জে বিএনপি’র একাংশের সংবাদ সম্মেলন বাবুগঞ্জের ছাত্রদল নেতার খুনিদের গ্রেপ্তার পরবর্তী দৃষ্টান্ত ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ চুয়াডাঙ্গায় ৩ তক্ষকসহ গ্রেফতার ১জন বাবুগঞ্জ এলজিইডি’র এলসিএস কমিউনিটি অর্গানাইজার সানজিদার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার ও হয়রানির অভিযোগ
তেঁতুলিয়ায় মুক্তিযোদ্ধার বিধবা স্ত্রী একটি বাড়ি চায়। আজকের ক্রাইম-নিউজ

তেঁতুলিয়ায় মুক্তিযোদ্ধার বিধবা স্ত্রী একটি বাড়ি চায়। আজকের ক্রাইম-নিউজ

তেঁতুলিয়া (পঞ্চগড়) প্রতিনিধিঃ- স্বামী মৃত্যর পর অসহায় দিন যাপন করছে বীর মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম। বিধবা স্ত্রী সরকারের কাছে একটি বাড়ি চায়। উপজেলা শালবাহান ইউনিয়নের ছোপাগছ গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাবুদ্দীন মারা যায় প্রায় ৪ বছর আগে। মারা যাওয়ার আগ মূহুর্ত পর্যন্ত তার ২য় স্ত্রী সন্তান নিয়ে মাত্র ৪ শতক জমির উপর ঝুপড়ি তুলে বসবাস করছিলে। প্রথম স্ত্রী সন্তানদের সাথে ঢাকায় থাকেন। প্রথম স্ত্রীর সন্তারা ঢাকায় অন্যের দোকানে কর্মচারী হিসেবে কর্মরত। এদিকে তিনি ২য় স্ত্রী ও তিন সন্তান নিয়ে গ্রামে বসবাস করতেন। স্বামী মৃত্যুর পর মুক্তিযোদ্ধার সম্মানী ভাতা দুই স্ত্রী সমান ভাগে বন্টন করে নেন। এভাবেই সংসার চালিয়ে থাকেন। ছেলে দেলোয়ার হোসেন ট্রাকের হেলপারি করে সংসারের জোগান দিতেন। দুর্ভাগ্যের শিকার গত ২৯ ডিসেম্বর মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়। সংসারে জোগান দেয়া এক মাত্র সন্তানকে ৪ বছরের মাথায় হারিয়ে আরো অসহায় হয়ে পড়েন। সাড়ে ৪ বছর বয়সের নাতি নিয়ে কোন মতে দিনাতিপাত করছে।
স্ত্রী মনোয়ারা বেগম জানান, চার বছর আগে স্বামীকে হারিয়ে সন্তানদের নিয়ে কোন মতে সংসার চালাতাম। সংসারে উপার্জনক্ষম ছেলে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাওয়ায় অসহায় হয়ে পাড়েছি। সন্তানদের নিয়ে কোন মতে ঝুপরি ঘরে বসবাস করছি। এখন পর্যন্ত সরকারি কোন সাহায্য সহযোগিতা পাইনি। ছেলে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাওয়ার দিন শালবাহান ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক আশরাফুল ইসলাম নগদ অর্থ ও চাল ডাল দিয়ে আমাদের সহযোগিতা করেছেন। আমরা গরীব মানুষ, আমার স্বামী একজন মুক্তিযোদ্ধা তবুও সরকারি কোন সাহায্য সহযোগিতা পাইনা। সরকারেরর কাছে আবদার যদি একটি বাড়ি করে দিতো তাহলে সন্তানদের নিয়ে অন্তত শান্তিতে একটু ঘুমাতে পারতাম।
ছেলে আনোয়ার হোসেন জানান, আমি ঢাকায় অন্যের দোকানে কর্মচারী হিসেবে কাজ করি। গ্রামে আসলে নিজের বাড়িতে ঘুমানোর মত কোন ঘর না থাকায় অন্যের বাড়িতে আমাদের ঘুমাতে হয়।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহাগ চন্দ্র সাহা জানান, বিষয়টি শুনেছি আমাদের প্রথম ধাপের বরাদ্দ শেষ হয়ে গেছে। পরবর্তী বরাদ্দ আসলে প্রথমেই মুক্তিযোদ্ধার বিধবা স্ত্রীর বাড়ির বিষয়টা অগ্রাধিকার দেয়া হবে।

জাবেদুর রহমান জাবেদ

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © 2019